আসামের এনআরসি: পরিবারের সবাই থাকলেও নেই মুনওয়ারা
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা বা এনআরসি প্রকাশ নিয়ে শুক্রবারের আগ থেকেই উদ্বেগে ছিলেন ৪১ লাখ মানুষ।গতকাল শনিবার তালিকা প্রকাশের পর বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ। এই বাদ পড়া ১৯ লাখের মধ্যে রয়েছেন মুনওয়ারা খাতুন নামের এক নারী।মধ্য আসামের একটি এনআরসি সেবাকেন্দ্রে নিজের নাম দেখতে দুই নাতি ও স্বামী সহর আলীকে নিয়ে এসেছেন মুনওয়ারা খাতুন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, পরিবারের সবার নাম রয়েছে তালিকায়। কিন্তু আমার নাম নেই। এটা কীভাবে হয়?৬৫ বছরের সহর আলী জানান, খসড়া তালিকায় নাম না থাকার পর কর্মকর্তাদের ভূমির দলিল, ভোটার পরিচয়পত্র ও আঁধার কার্ড দেওয়া হয়েছে।ওই এনআরসি সেবাকেন্দ্রে তালিকায় নাম না থাকা কয়েক ডজন মানুষ ভিড় করেণ। কর্মকর্তারা তাদের আদালতে যাওয়ার জন্য বলছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন রিতেশ সুত্রধর। তালিকায় রিতেশের স্ত্রীও স্থান পাননি। তিনি বলেন, তারা বলছে আদালতে যেতে। কিন্তু এই পেছনে যে ব্যয় হবে তা কে দেবে?ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কমিশনড কর্মকর্তা (জেসিও) আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় স্থান পাননি। এই বছরের শুরুতে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাকে বিদেশি ঘোষণার পর ভারতের সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। শনিবার প্রকাশিত চূড়ান্ত নাগরিক তালিকাতেও স্থান হয়নি তার। এই সেনা কর্মকর্তার তিন সন্তান, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নাম তালিকায় নেই। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় স্ত্রীর নাম রয়েছে।শনিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। এক বিবৃতিতে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারী ৩ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৬৬১ জনের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন। তালিকায় স্থান না পাওয়া ব্যক্তিরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করার সুযোগ পাবেন।